সারা বিশ্বের ৫০% মানুষ চুলের কোন না কোন সমস্যায় ভোগেন। চুল পড়া, সাদা চুল, চুল জটা বেঁধে যাওয়া ও আরও কতো কি। চুল পড়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি ২/৪ টা চুল ওঠে তা নিয়ে উদবিঘ্ন হবার কিছু নেই। কিন্তু যদি অত্যাধিক চুল পড়ে তা হলে তা চিন্তার বিষয়। কিছু উপসর্গ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি ওষুধ (homeopathy medicines for hair fall) খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চুল পড়ার কারণ
- বিভিন্ন কারনে চুল পরতে পারে। শরীরে কিছু প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট যেমন আয়রন,কপার,জিঙ্ক এর অভাব হলে চুল উঠতে পারে। তাছাড়া শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলেও চুল ওঠে।
- বহুদিন ধরে খেয়ে আসা কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনেও চুল ওঠে।
- মাথার চুল ওঠার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।অনেক সময় যকৃৎ এর সমস্যার জন্যও চুল ওঠে। যকৃৎ এর সমস্যা থাকলে Chelidonium Q সেবন করতে হবে।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও দুষনের কারণে ও চুল ওঠে।
- অনেকক্ষন ধরে টুপি বা হেলমেট পরে থাকার জন্যও চুল উঠতে পারে।
- জিনগত কারণও হল এর আরও অন্যতম কারণ।বাবার বা মায়ের বাড়ির লোকেদের যদি এই সমস্যা থাকে তাহলে আপনার ও এই সমস্যা হতে পারে।
চুল পড়া রোধের হোমিওপ্যাথি ওষুধ (homeopathic medicines for hair fall)
Acid Hydrofluoricum 30 – চুল উঠে যায়, টাক পড়ে ।
Borax 30 – চুলের ডগা জুড়ে গিয়ে জটা বাঁধে।
Carbo Veg 30 – কঠিন অসুখের পর বা প্রসবের পর চুল উঠলে।
Lycopodium 30 – অপরিণত বয়সে চুল পাকে, মাথার চাদিতে টাক পড়ে।
Selenium 30 – চুল আঁচড়াবার সময় চুল উঠে, টাক পড়ে, টাকের চামড়া চক চক করে, ভ্রু, দাঁড়ির চুল উঠে।
হোমিওপ্যাথি চুলের তেল
বাহ্যিক প্রয়োগের জন্যে Arnica hair oil, Cantharis Hair oil, Jaborandi hair oil ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
বাহ্যিক প্রয়োগ হিসেবে Jaborandi Q, Amloki Q ও Arnica Q এই তিনটি ওষুধ সমপরিমাণে মিশিয়ে বিশুদ্ধ নারকেল তেল এ মিশিয়ে মাথায় মাখলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
জার্মানির Dr. Reckeweg কোম্পানির R89 টাক পড়া রোধ করতে ও নতুন চুল গজাতে খুব সাহায্য করে ।
আরও পড়ুনঃ শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন অক্ষমতার হোমিওপ্যাথি ওষুধ