ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ
সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট,হৃদস্পন্দন,হৃদপিণ্ডে চাপবোধ,বাম দিক দিয়ে শুতে না পারা,মাথাযন্ত্রণা,কান ভোঁ ভোঁ করা,বিরক্তিভাব,মাথাঘোরা,অনিদ্রা,নাক দিয়ে রক্ত নির্গমন,রাতে বার বার প্রস্রাব করতে যাওয়া,ক্ষণিক দৃষ্টিহীনতা ও সন্ন্যাস রোগ – ইত্যাদি ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ। নিচে এই ব্লাড প্রেসারের উপসর্গ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি ওষুধের (high blood pressure homeopathy medicine) বিবরন দেওয়া হল।
উচ্চ বা নিম্ন ব্লাড প্রেসার বোঝার সহজ উপায়
তরজনি,মধ্যমা,অনামিকা – এই তিন আঙ্গুল কব্জির নিচে নাড়ী জোরে চেপে ধরে আঙ্গুল এদিক ওদিক করতে থাকবেন।– যদি ব্লাড প্রেসার কম(Low) হয় ,আঙ্গুলের নিচে নাড়ীর স্পন্দন একেবারে অনুভব করতে পারবেন না। কিন্তু যদি ব্লাড প্রেসার বেশি(High) হয়,আঙ্গুলের নিচে চাবুকের দড়ির মত নাড়ী শক্ত অনুভব করবেন। এটাই ব্লাড প্রেসার পরীক্ষার সবচেয়ে সহজ উপায়। এছাড়াও স্ফিগমোম্যানোমিটার এর সাহায্যে ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করা যায়।
ব্লাড প্রেসারের হোমিওপ্যাথি ওষুধ
ব্লাড প্রেসার অত্যন্ত উচ্চ হলে (High blood Pressure)
Glonoinum 30, ১ ফোঁটা, Crataegus Q – ৫ ফোঁটা, Passiflora Q – ৮/১০ ফোঁটা , উক্ত মাত্রায় এই তিনটি ওষুধ পর্যায়ক্রমে ২/৩ ঘণ্টা অন্তর প্রয়োগ করবেন। অথবা পর্যায় দিনে প্রত্যেকটি ওষুধ তিনবার, অর্থাৎ আজ Glonoinum তিনবার ,কাল Crataegus তিনবার, পরশু Passiflora তিনবার, এইভাবে ওষুধ প্রয়োগ করে ফলাফল পরীক্ষা করবেন।
এছাড়াও, Lycopus 30/200 শক্তিতে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ডের ব্যাথা,নাড়ীর দ্রুত স্পন্দন থেকে উপকার পাওয়া যায়।
Glonoinum এ উচ্চ ব্লাড প্রেসার কম হয়।
Crataegus এ হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বর্ধিত হয়। বুক ধড়ফড়ানি কম হয়।
Passiflora – স্নায়ু সতেজ করে এবং উপরোক্ত দুটি ওষুধের ক্রিয়া বর্ধিত করে।
Rauvolfia Serp Q – উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকরী ওষুধ। সকালে খালি পেটে 10 ফোঁটা করে সেবন করুন।
ব্লাড প্রেসার অধিক হলে Argotin 1X, Adrinalin 6, Zincum met এই ওষুধগুলিও ভালো ফল দেয়।
জার্মানি এর Dr. Reckeweg কোম্পানির R85 উচ্চ ব্লাডপ্রেসারে ভালো ফল দেয়।
ব্লাড প্রেসার কম হলে (Low Blood pressure)
Physostigma – 3X , 30 ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
জার্মানি এর Dr. Reckeweg কোম্পানির R44 নিম্ন ব্লাড প্রেসারে ভালো ফল দেয়।
আরও পড়ুনঃ সর্দি কাশির হোমিওপ্যাথি ঔষধ
সাবধানতা
এই রোগে উচ্চ প্রোটিন খাদ্য – মাংস, বড় মাছ,পনির,দুধ ইত্যাদি খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক খাবারের সাথে ফল খাওয়া উপকারি। জোরে জোরে কাপড় কাচা, ভাজা খাদ্যদ্রব্য,গরম মশলা, চা, কফি,মদ,তামাক,গুরুপাকদ্রব্য একেবারে নিষিদ্ধ।উষ্ণ জলে স্নান করা বিশেষ উপকারি।
অম্ল ও অজীর্ণ এর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
কিছু জানার থাকলে নিচে Comment করুন।